তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়িদের বিরুদ্ধে রোববার দেশটির রাজধানীতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ফেরার দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দুজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সাইয়িদ নিজেসহ দুজনের নাম ঘোষণা করেছেন। এ সিদ্ধান্তও প্রত্যাখ্যান করছেন বিক্ষোভকারীরা।
রাজধানী কেন্দ্রীয় তিউনিসে দেওয়া স্লোগানে বিক্ষোভকারীরা বলছেন—‘জনগণ গনতন্ত্র চায়’, ‘দেশকে দুর্ভিক্ষে ঠেলে দিয়েছেন সাইয়িদ’।
একই সময়ে তিউনিসে সরকারপন্থি কিছু লোককেও সমাবেশ করতে দেখা গেছে।
ভেঙে দেওয়া পার্লামেন্টের ডেপুটি প্রধান সামিরা চাওয়াচি বলেন, ‘এটা পরিস্কার হয়ে গেছে যে, রাজপথ গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তনের পক্ষে রায় দিচ্ছে।’
নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে গত বছর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে দেশে একচ্ছত্র শাসন জারি করেন প্রেসিডেন্ট কায়িস সাইয়িদ। এরপর থেকে তিনি গণভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সংবিধান ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন তিনি।
বিক্ষোভকে তিনি অভ্যুত্থান বলতে নারাজ। তাঁর দাবি, তিউনিসিয়াকে রক্ষার জন্যই তিনি এগিয়ে এসেছেন।
কয়েক মাস টানা গণবিক্ষোভ ও আলোচনা সমঝোতার পর ২০১৪ সালে সংবিধান পায় তিউনিসিয়া।