তিউনিসিয়ায় নৌযানে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ৮ জন বাংলাদেশি, জীবিত উদ্ধার ২৭
লিবিয়া থেকে নৌকায় করে সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসীয় উপকূলে নৌ-দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের। এ ছাড়া ২৭ বাংলাদেশি নাগরিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্য নিশ্চত করেছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত সাড়ে ৪টায় নৌকাডুবি হয়। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিল নৌকার চালক।
দুর্ঘটনার পর ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আটজন, সিরিয়ার পাঁচজন, মিসরের তিনজন ও মিশরীয় নাগরিক নৌকাচালক রয়েছেন।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শেনদিয়া গ্রামের সজল, একই উপজেলার কদমবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, সরমঙ্গল গ্রামের মামুন সেখ, বাজিতপুর নতুন বাজারের তেলিকান্দি গ্রামের কাজী মিজানুরের কাজী সজীব, কবিরাজপুর ইউনিয়নের কেশরদিয়া গ্রামের কায়সার।
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার রাগদী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের দাদনের রিফাত, একই উপজেলার ফতেহপট্টি গ্রামের রাসেল, গয়লাকান্দি গ্রামের মো. পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন।
এ ছাড়া মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার আমগ্রাম ইউনিয়নের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে মনতোষ সরকার। পাসপোর্টবিহীন বাংলাদেশি রয়েছেন সাতজন।
তিউনিসিয়া উপকূলে নৌ-দুর্ঘটনায় উদ্ধারকৃত বাংলাদেশিদের সার্বিক কল্যাণ ও মৃত্যুবরণকারীদের তথ্য নিশ্চিত করতে লিবিয়ার ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল তিউনিসিয়ার জারজিস শহরে অবস্থান করছেন। নিহত বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত এবং স্থানীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মৃতদেহ দেশে প্রেরণের জন্য দূতাবাস কাজ করছে।