যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যা মামলায় ৩ শ্বেতাঙ্গ দোষী সাব্যস্ত
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/11/25/three-us-men.jpg)
গত বছরের আলোচিত আফ্রিকা বংশোদ্ভূত এক মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যাকাণ্ডে তিন শ্বেতাঙ্গ পুরুষকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ১২ সদস্যের এক মার্কিন জুরিবোর্ড। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা এ খবর জানিয়েছে।
জুরিদের এমন রায় আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রকে বর্ণগত সংখ্যালঘু এক নাগরিকের ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা স্বীকার করতে বাধ্য করল।
৬৫ বছর বয়সি গ্রেগরি ম্যাকমাইকেল, তাঁর ছেলে ট্রাভিস ম্যাকমাইকেল এবং প্রতিবেশী উইলিয়াম রোডি ব্রায়ানকে (৪২) ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ব্রাউন্সউইকে আহমদ আরবারি নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে ধাওয়া করে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
দীর্ঘ বিচার পর্বে জুরিরা বিবাদী পক্ষ এবং রাষ্ট্রীয় আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন।
প্রধান কৌঁসুলি লিন্ডা দুনিকস্কি বলেন, ‘তাঁরা (দোষী তিন ব্যক্তি) আহমদ আরবারিকে তাঁদের ড্রাইভওয়েতে হামলার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ আহমদ ছিলেন একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং তিনি রাস্তায় দৌড়াচ্ছিলেন।’
ঘণ্টাব্যাপী যুক্তিখণ্ডনে দুনিকস্কি আসামিপক্ষের বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ও যৌক্তিকতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। আসামিপক্ষের দাবি—২৫ বছর বয়সি আরবারিকে তাঁদের বিপজ্জনক মনে হয়েছিল।
লিন্ডা দুনিকস্কি বলেন, ‘তাদের (আসামিপক্ষ) জন্য আহমদ হুমকি হতে পারে বলে তারা তাঁকে হত্যা করেননি। কারণ, আহমদের সঙ্গে কোনো অস্ত্র ছিল না। তিনি কারও জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করেননি। এমনকি সাহায্যের জন্য কাউকে ডাকার উপায়ও তাঁর ছিল না। আরবারি (প্রাণে বাঁচতে) প্রায় পাঁচ মিনিটের মতো ছুটেছেন।’
হত্যা ও প্রচণ্ড আক্রমণ ছাড়াও অপহরণের চেষ্টা এবং আরবারিকে বর্ণগতভাবে চিহ্নিত করার মতো রাষ্ট্রীয় ঘৃণাজনিত অপরাধে তিন আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আসামিপক্ষের হয়ে একমাত্র ট্রাভিস ম্যাকমাইকেল সাক্ষ্য দিতে আদালতে দাঁড়ান। তিনি আদালতকে জানান—আত্মরক্ষায় অত্যন্ত কাছে থেকে তিনি শটগান দিয়ে গুলি ছোড়েন।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/11/25/three-us-men-inside.jpg 687w)
আরবারির হত্যার ভিডিওটি ফাঁস হওয়া এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ ও ভাইরাল হয়ে যাওয়ার দুই মাসের বেশি সময় পরেও পুলিশ সন্দেহভাজনদের অভিযুক্ত না করায় গত বছর গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখা দেয়।