আল-আকসাকেন্দ্রিক সংঘর্ষে নিহত আরো দুই ফিলিস্তিনি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/07/23/photo-1500797812.jpg)
ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদের সামনে মেটাল ডিটেকটর বসানোর প্রতিবাদে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আরো দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার আলাদা ঘটনায় ফিলিস্তিনি এক কিশোর ও এক যুবক নিহত হন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি জানিয়ে বলেছে, শনিবার পূর্ব জেরুজালেমের আল-ইজারিয়া শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ওদে নাওজা (১৭) নামের এক কিশোর নিহত হয়।
একই দিনে অধিকৃত পশ্চিমতীরের আবু দিস গ্রামে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ছোড়ার আগেই পেট্রলবোমা বিস্ফোরিত হয়ে ফিলিস্তিনি এক যুবক নিহত হন। তাঁর নাম জানা যায়নি।
ইসরায়েলের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাথর ছুড়তে থাকা ফিলিস্তিনি জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে তারা রায়ট গিয়ার ব্যবহার করে। তবে টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে ইসরায়েলি পুলিশ স্টান গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করছে।
ইসরায়েল সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, শনিবার পশ্চিমতীরে বাহিনীর বাড়তি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। সেই সেনারা ছুরিকাঘাতে তিন ইসরায়েলিকে হত্যাকারী যুবকের কোবার গ্রামের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এ সময় তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সম্প্রতি আল-আকসা মসজিদের প্রবেশদ্বারে মেটাল ডিটেকটর বসানো নিয়ে বিক্ষোভ চলাকালে ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে গত শুক্রবার তিন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-২-এর দেওয়া তথ্যমতে, ইসরায়েল পুলিশ শনিবার রাতে মেটাল ডিটেকটর অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনায় বসবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত কার্ল স্কাউ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, সুইডেন, মিসর ও ফ্রান্স চলমান এই সংকট নিরসনের জন্য জাতিসংঘকে দ্রুত আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে।