রাতারাতি কারখানা সরে গেছে ৩০ ফুট!
রাতারাতি একটি জৈব গ্যাস কারখানা আগের স্থান থেকে ৩০ ফুট দূরে চলে গেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সকালে বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে ধরা পড়ে।
জেলার সোয়াই-শ্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষুদ্র মন্ডলগাতী গ্রামের বাসিন্দারা সোমবার ভোরে উঠে দেখতে পান, এলাকার একটি জৈব গ্যাস তৈরির কারখানা নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরে গেছে প্রায় ৩০ ফুট দূরে। আজব এই কাণ্ড দেখতে সেখানে নেমেছে মানুষের ঢল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বসে গেছে মেলাও। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এ ঘটনা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন ওই অজগাঁয়ে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ইছামতী নদীর ধার ঘেঁষে নির্মিত হয়েছিল এই জৈব গ্যাস কারখানাটি। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কারখানা ও এর সংলগ্ন অঞ্চল পানিতে ডুবে যায়। ফলে ওই এলাকায় মানুষের খুব বেশি যাতায়াত ছিল না। কারখানাটিও বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে ছিল। সোমবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দেখতে পান, কারখানাটি যে জায়গায় ছিল, সেখানে আর নেই। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে এটি প্রায় ৩০ ফুট দূরে সরে গেছে। কীভাবে রাতারাতি আস্ত একটি কারখানা এতটা সরে গেল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
কারখানা সরে যাওয়ার খবর চাউর হতেই হাজার হাজার মানুষ ওই এলাকায় ভিড় জমায়। কেউ কেউ এ ঘটনাকে দৈব মনে করে পেন্নাম ঠুকছেন কপালে। কেউ বা ফুল-বেলপাতা থালা নিয়ে হাজির হয়েছেন কারখানায় পূজা দেবেন বলে।
স্থানীয় সোয়াই-শ্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দা শামসুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি দেখতে আমি নিজেও যাই। ওখানে জৈব গ্যাস তৈরির কারখানাটি যেকোনো কারণেই হোক, নির্দিষ্ট জায়গা থেকে অনেকটা দূরে সরে গেছে। তবে মজার বিষয় হলো, কারখানার ঘরটি অক্ষত আছে। ঘরের ভেতরে মালপত্রও ঠিকঠাক রয়েছে। আর কারখানার পিলার, বেড়া ও ছাউনিরও কোনো ক্ষতি হয়। কীভাবে এমনটি ঘটেছে, তা নিয়ে ধন্ধে পড়েছেন তিনিও। তবে গোটা এলাকা পানিমগ্ন থাকায় বিষয়টি ভালো করে খতিয়ে দেখা সম্ভব হচ্ছে না।
জৈব গ্যাসের কারখানা সরে যাওয়ার ঘটনা জানতে পেরে এলাকা ঘুরে গেছেন দেগঙ্গা থানার পুলিশও। বিষয়টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজতে ব্যস্ত প্রশাসন। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ওই ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।