এবার মার্কিন সেনাবাহিনীকে ‘সন্ত্রাসবাদের সমর্থক’ আখ্যা দিল ইরান
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীকে (আইআরজিসি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করার পর এবার মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ‘সন্ত্রাসবাদের সহযোগী’ সংগঠন আখ্যা দিল ইরান।
ইরানের সুপ্রিম নিরাপত্তা কাউন্সিল এক বিবৃতিতে একথা বলেছে বলে দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস নিউজের খবরে বলা হয়েছে। এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক মার্কিন সামরিক বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তালিকায় রাখতে চান।
দুটি দেশের দিক থেকেই এটি নজিরবিহীন ঘটনা। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওয়াশিংটনকে হুমকি বলে উল্লেখ করেছে তেহরান। অন্যদিকে এই প্রথম কোনো দেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কালো তালিকাভুক্তির ফলে আইআরজিসির সঙ্গে কোনো রকম ব্যবসা বা যোগাযোগ রয়েছে এমন যে কাউকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া যাবে। এশিয়া ও ইউরোপের বহু ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ইরানের এই বাহিনীটির সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।
তালিকাভুক্তির খবরের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সুপ্রিম নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, এই বেআইনি ও হঠকারী সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তির ক্ষেত্রে হুমকি স্বরূপ। দেশটির সর্বোচ্চ কাউন্সিল যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকেও সন্ত্রাসবাদের সমর্থক বলে উল্লেখ করে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে এ কথা জানানো হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মে মাসে তাঁর দেশ আর ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে নেই বলে ঘোষণা দিলে দুটি দেশের মধ্যকার সংকট চরম আকার ধারণ করে। চুক্তি থেকে সরে আসার পর ইরানের ওপর নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ইরান অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বহু ব্যক্তি ও সংগঠনকে আইআরজিসির সঙ্গে সংযোগের কারণে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। এবার সরাসরি ইরানের রাষ্ট্রীয় বাহিনীটিকেই সেই তালিকায় ঢুকিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের পর বিপ্লবী সরকারের রক্ষাকবচ হিসেবে আইআরজিসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেশটির সামরিক বাহিনী থেকে পৃথকভাবে কাজ করে বাহিনীটি। এটি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার আদেশে পরিচালিত হয়।