ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতি, মেনে চলার অঙ্গীকার উভয় পক্ষের
ইয়েমেনে জাতিসংঘ-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার মধ্যরাত থেকে এটি কার্যকর হয়। ইয়েমেনের সরকারকে সমর্থন দেওয়া সৌদি জোট এবং ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুতিরা এটি মেনে চলার কথা জানিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইয়েমেনের যুদ্ধে দুই পক্ষের ছয় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গৃহহীন ও উদ্বাস্তু হয়ে জীবনযাপন করছে ২০ লাখের বেশি মানুষ।
জানা গেছে, ইয়েমেনের সংঘাত নিরসনে চলতি মাসের শেষ দিকে কুয়েতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আর দেশটির শান্তির পথে যুদ্ধবিরতিকে বড় পদক্ষেপ বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সৌদি-সমর্থিত জোট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদুরাব্বাহ মনসুর আল হাদির দাবির কারণে যুদ্ধবিরতিকে তাঁরা সম্মান জানাবেন। তবে যেকোনো সময়ের জন্য তাঁরা প্রস্তুত আছেন। একই রকম অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে হুতিরা। তারা জানিয়েছে, হামলা হলে এর জবাব দিতে তারাও প্রস্তুত।
বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা আগে রোববার দিনের বেলায় এক সংঘর্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। এর পরও যথাসময়ে কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি।
ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতি ও শান্তির প্রচেষ্টা এর আগেও নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে সৌদি জোট ও হুতিদের নিয়ে শান্তি আলোচনায় বসে জাতিসংঘ। তবে এটি ব্যর্থ হওয়ায় যুদ্ধবিরতিও অকার্যকর হয়ে পড়ে।
যুদ্ধবিরতির আগের দিন শনিবার প্রেসিডেন্ট হাদি বলেন, তাঁরা কুয়েতের আলোচনাকে গুরুত্বসহকারেই নিচ্ছেন। একই সঙ্গে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের শর্ত মেনে দখলকৃত অঞ্চল থেকে হুতিদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইরান এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ হুতিদের সমর্থন দিচ্ছে। ২০১৪ শিয়াপন্থী হুতিরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও পশ্চিমাঞ্চল দখল করে নেয়।