সুদান সংকট : বিমান হামলায় পাঁচ শিশুসহ নিহত ১৭
সুদানের রাজধানী খার্তুমে একটি বিমান হামলায় পাঁচ শিশুসহ ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ারমুক জেলায় শনিবারের এ হামলায় ২৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
সুদানের সেনাবাহিনীর একজন শীর্ষ জেনারেল আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের বিরুদ্ধে হামলা জোরদারের হুমকি দেওয়ার একদিন পর এ ঘটনা ঘটে।
এপ্রিলের মাঝামাঝিতে দেশটির সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
জুনের প্রথম দিকে ইয়ারমুকের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে আরএসএফ। রাজধানীর এই এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে।
পরে শনিবার (১৭ জুন) যুদ্ধরত দুপক্ষ রোববার (১৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। সৌদি ও মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা এ তথ্য জানিয়েছে। অতীতে যদিও অনুরূপ যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানা হয়নি।
দুই বাহিনীর এই যুদ্ধে নিহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন, তবে এক হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, দেশের মধ্যে প্রায় ২২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং পাঁচ লাখের বেশি প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে। মানুষকে যুদ্ধ থেকে পালানোর সুযোগ দিতে বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সেগুলো মানা হয়নি।
আরএসএফের দাবি, সর্বশেষ হামলাটি ইয়ারমুকের মেয়ো ও ম্যান্ডেলা এলাকায় বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী এ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী চাদে পালিয়েছে। সেখানে চিকিৎসক ও হাসপাতালগুলো অতিরিক্ত চাপ সামলাতে লড়াই করছে। চলমান এই সহিংসতা সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুই দশকের পুরোনো সংঘাতকেও পুনরুজ্জীবিত করেছে।