সাজা স্থগিত হলেও মুক্তি পাচ্ছেন না ইমরান খান : দ্য ডন
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেওয়া তিন বছরের সাজা স্থগিত করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিত করা হলে জেল থেকে সহসায় মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি। সাইফার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এটক কারাগারেই থাকবেন তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান। খবর ডনের।
প্রতিবেদনে পাকিস্তানের দৈনিকটি জানায়, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানির জন্য সম্প্রতি একটি বিশেষ আদালত এটক কারাগারের তাকে রাখার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশনার ফলে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে পিটিআই প্রধানকে। সাইফার মামলায় আগামীকাল শুনানির জন্য ইমরান খানকে বিশেষ আদালতে তোলা হবে।
কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে বিশেষ আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটি ডনের হাতে রয়েছে। ওই চিঠিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুয়াল হাসনাত মোহাম্মদ জুলকারনাইন জেল সুপারকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজির ছেলে অভিযুক্ত ইমরান খান নিয়াজির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যেই জেলা কারাগার, এটকে রয়েছেন।’
ডন জানিয়েছে, সাইফার মামলাটি একটি কূটনৈতিক নথির সঙ্গে সম্পর্কিত। ওই নথিটি ইমরানের ক্ষমতাকালে হারিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। একই মামলায় পিটিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট পিটিআই প্রধান ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে আসামি করে সাইফার মামলা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে পরই এই মামলা করা হয়। ওই গণমাধ্যমটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইমরানের শাসনামালে কূটনৈতিক নথি হারিয়েছে। এই মামলায় গত রোববার জেলে বন্দি ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাকিস্তানের গোয়েন্দারা।
গত ৫ আগস্ট তোষখানা মামলা ইমরান খানকে তিন বছরের সাজা দেন আদালত। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেআইনিভাবে তোশাখানার রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির অভিযোগে এ মামলা হয়েছিল।
মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইমরান খানকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দেশটির নির্বাচন কমিশন।
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের এটক শহরে কারাবন্দি রয়েছেন।