জামিন পেলেও জেলেই থাকতে হবে ইমরান খানকে
রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশ দেন। জামিন পেলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জেলেই থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন মামলা থাকার কারণে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে ইমরান খানের বাইরে বের হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, গত আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দেওয়া হয়। ইমরান খানের অভিযোগ, সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাধর মহল তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে এবং জনগণের আন্দোলনকে দমন করছে।
আজকের জামিন নিয়ে ইমরান খানের আইনজীবী সালমান সাফদার বলেন, ‘মামলাটি পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছে। ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেইশি অবশেষে জামিন পেয়েছেন।’ ইমরানের শাসনামলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন শাহ মাহমুদ কুরেইশি। গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায় তিনিও কারাগারে রয়েছেন।
প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেছেন, ইমরান খান ও কুরেইশি যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত পাকিস্তানি দূতের পাঠানো একটি কূটনৈতিক তথ্যের ভুল ব্যবহার করেছে।
রায়ে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত বলেন, ঔপনিবেশিক যুগের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে হওয়া মামলা একটি অপরাধ তা বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আদালত বলেন, মামলাটির আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তদন্ত শেষে বিজ্ঞ বিচারকের দ্বারা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের আগে ইমরান খানকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে না বলে দাবি করছে পিটিআই। রাজনৈতিক দলটি থেকে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন মামলায় তাকে কারাগারে রাখা হবে। পিটিআইয়ের আইনজীবী খালিদ ইউসাফ বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতেও তার মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ বলে মনে হচ্ছে।