অর্থের অভাবে সুদানের অনেকে দিতে পারেননি কোরবানি
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সকালে সুদানের মুসলিম পরিবারগুলো কোরবানির জন্য পশু কিনে তার মাংস গরিবদের মধ্যে বিতরণ করে। ইসলামি ঐতিহ্যগত অনুসারণে সাধারণত ছাগল বা ভেড়া ক্রয় করে এমন উপহার বিতরণ করে থাকে। কিন্তু, দ্বিতীয় বছরের মতো তাদের অনেকেই পশু কোরবানি দিতে পারেনি। যুদ্ধের কারণে হাজারো মৃত্যুর পাশাপাশি লাখো বাস্তুচ্যুতি ও স্থানীয় মুদ্রার মূল্য পড়ে যাওয়ায় অর্থাভাবে আছে তারা। বিভিন্ন নিত্যপণ্যের সঙ্গে বেড়েছে পশুর দামও। খবর সিনহুয়ার।
২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষ চলে আসছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১৫ হাজার ৫৫০ জনের বেশি। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছে আট লাখ ৮০ হাজার। সেখানে অস্থিরতা কাজ করছে। দেখা দিয়েছে অর্থের অভাব। জাতিসংঘের মতে, সুদানের জনসংখ্যার অর্ধেক জনগণের মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষা প্রয়োজন। কারণ সেখানে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
চীনের গণমাধ্যমটি বলছে, সুদানি নাগরিকেরা অর্থের অভাবে কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় পশু কিনতে পারেননি। খার্তুমের কাছে একটি স্থানীয় বাজারে ভেড়া পাঁচ থেকে আট লাখ সুদানিজ পাউন্ডে বিক্রি হচ্ছে, যা সমান্তরাল বাজারে প্রায় ২৬০ থেকে ৪২০ মার্কিন ডলারের সমান।
জিব্রিল মোহাম্মদ বশির একজন পশু ব্যবসায়ী। তিনি দেশটির পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চল থেকে রাজধানীতে গবাদিপশু আনেন। তিনি বলেন, পরিবহণের উচ্চ খরচে বেড়েছে ভেড়ার দাম। যদিও এমন যুক্ত মানতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা। হামিদ আবদুল্লাহ সিনহুয়াকে বলেন, এই দাম ‘অযৌক্তিক’। গত বছর ভেড়ার গড় দাম ছিল মাত্র এক লাখ পাউন্ড।