টেক্সাসের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ব্যারিল’, সতর্কতা জারি
ঘূর্ণিঝড় ‘ব্যারিল’ শক্তিশালী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য টেক্সাসের উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে। এ কারণে বন্যা ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকার বাড়িঘর থেকে বেশ কিছু অধিবাসীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) তাদের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ব্যারিল তার আওতাধীন এলাকায় ১৩০ কিলোমিটার ঝড়ো বাতাসের গতি নিয়ে টেক্সাস উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এ বিষয়ে আজ সোমবার (৮ জুলাই) সকালে এনএইচসি জানায়, প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস আর আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা নিয়ে ক্রমশ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা ২৩ লাখ লোক অধ্যুষিত হাউস্টন শহরসহ টেক্সাসের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে। হাউস্টনের মেয়র জন হোয়াইটমায়ার এ সম্পর্কে বলেন, ‘ব্যারিলকে আমাদের বেশ গুরুত্ব নিয়ে দেখতে হবে, কেননা আমাদের সবচেয়ে খারাপ শত্রু হচ্ছে আত্মতুষ্টি।’
এর আগে গতকাল রোববার টেক্সাস উপকূলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হারিকেন ও ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে ‘ব্যারিল’ বন্দর শহর করপাস ক্রিস্টি ও গ্যালভেস্টন দ্বীপে আঘাত হানতে পারে। কর্পাস ক্রিস্টি শহরটি যেখানে সেই নুইসেস কাউন্টিতে পর্যটকদের ইতোমধ্যে শহর ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। তা ছাড়া শনিবার পাশের রিফিউজিও কাউন্টিতে লোকজনকে বাধ্যতামূলকভাবে শহর ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। ২০১৭ সালে এখানে আঘাত হানা হারিকেন হার্ভির ক্ষতির ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। এ ছাড়া হাউস্টনের দক্ষিণ-পূর্বে গ্যালভেস্টন শহর থেকে লোকজনকে সরে যেতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে এ সময় রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায়।
ব্যারিল ক্যাটাগরি-৫ ঝড়ের শক্তি নিয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ ও ভেনেজুয়েলায় আঘাত হানে। ঝড়ে এসব এলাকায় সাত জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার এটি ক্যাটাগরি-২ শক্তি নিয়ে মেক্সিকোতে আঘাত হানে। এর ফলে গাছপালা ভেঙে পড়ে, রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট ও বাড়িঘরের ছাদ উপড়ে যায়।
এনএইচসি জুন মাসে ব্যারিলকে ক্যাটাগরি-৪ শক্তির ঝড় হিসেবে চিহ্নিত করে আর জুলাই মাসে এটিকে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-৫ শক্তির ঝড় হিসেবে। আটলান্টিক মহাসাগরে হারিকেন মৌসুম শুরুর আগেভাগেই এই ধরনের শক্তিশালী ঝড়ের উৎপত্তি খুবই বিরল।