উৎসবের জোয়ারে ভাসছে ট্রাম্প শিবির, কৃতজ্ঞতা সমর্থকদের প্রতি
তৃতীয় বার লড়ে অবশেষে দ্বিতীয় বার মার্কিন মসনদ জিতে নিতে চলেছেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগে থেকেই এই জয়ে আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প ফলাফল ঘোষণার শুরু থেকে ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল। ফ্লোরিডাতে ভোট দিয়ে বলেছিলেন, তার কাছাকাছি ভোটও কেউ পাবে না। সেটি প্রমাণ হলে ফলাফলে। বিপুল ব্যবধানে ডেমোক্র্যাট পার্টির এবারের প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছেন তিনি।
যদিও আজ বুধবার বেলা পৌনে দুটো পর্যন্ত জয়ের জন্য বাকি চারটি ইলেক্টোরাল ভোট। তার আগেই ফ্লোরিডায় তৈরি উৎসবমঞ্চে ভাষণ দিয়েছেন ট্রাম্প। কারণ, এমন মুহূর্তে কমলা হ্যারিসের সাথে তার ব্যবধান বিপুল। ডেমোক্র্যাটের কমলা পেয়েছেন মাত্র ১৮৮ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন ও ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বিজয়সূচক ভাষণে ট্রাম্প তার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি ইতিহাস গড়ায় তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে গ্রেট আমেরিকা তৈরির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
হর্ষোৎফুল্ল জনতার উদ্দেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘একটি কারণে আজ রাতে আমরা ইতিহাস তৈরি করতে পেরেছি, আর সেই কারণটি হলো আমরা এমন এক বাধা অতিক্রম করেছি যা কখনো কেউ পার হতে পারেনি।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এটি এমন একটি রাজনৈতিক বিজয় যা আমাদের দেশ আগে কখনো দেখেনি।’
আগে থেকে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথা বলছিল বিভিন্ন জরিপ, তা যেন জাদুর শিল্পে উড়িয়ে বিজয়ী হলেন ট্রাম্প। ধারেকাছে ঘেষতে দিলেন না কমলা হ্যারিসকে। ফল ঘোষণার শুরু থেকে ব্যবধান গড়েছিলেন তিনি। যদিও বেলা ১১টার দিকে ব্যবধান কমিয়ে আনেন কমলা। তবে, তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি। হঠাৎই ফের ধস নামে দুপুর সাড়ে ১২টার পর। একের পর এক সুইং স্টেটগুলো জিতে এগিয়ে যেতে থাকেন ট্রাম্প। বড় ব্যাটেল ফিল্ডের মধ্যে নর্থ ক্যারোলিনা ও জর্জিয়ার পর পেনসিলভানিয়াও জিতে নেন তিনি। এরপর জয় অনেকটা সুনিশ্চিত হয়ে যায় সাবেক এই প্রেসিডেন্টের। কারণ তখন ট্রাম্পের ২৬৬, আর কমলা ১৮৮।
নির্বাচনি জরিপের শুরুতে ২০টি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প জেঁকে বসেছিলেন। সেই অঙ্গরাজ্যগুলোতে জিতেছেন তিনি। অন্যদিকে কমলাও তার এলাকাগুলো জিতেছেন। তবে, সুইং স্ট্রেটগুলোতে ট্রাম্প বুঝিয়ে দিলেন তার জনপ্রিয়তা।