ট্রাম্পের বিস্ময়কর জয়ে কমলার অভিনন্দন, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা

ক্ষমতার পালাবদলে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরাজিত প্রার্থী কমলা হ্যারিস বলেছেন, সবকিছু চূর্ণ করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর এই বিজয় যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের জন্য অনিশ্চয়তার এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। খবর এএফপির।
পরাজয় সত্ত্বেও আবেগতাড়িত বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ওয়াশিংটনে গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) তার অশ্রুসিক্ত সমর্থকদের উদ্দেশে হতাশ না হয়ে ‘লড়াই’ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের এই প্রতিশ্রুতি চার বছর আগে রিপাবলিকানদের প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা করলে সেটি ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। সে সময় জো বাইডেনের কাছে পরাজয়কে অস্বীকার করেন ট্রাম্প, যা ইউএস ক্যাপিটলে তার সমর্থকদের সহিংস আক্রমণের পথকে উসকে দেয়।
হোওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে সংক্ষিপ্ত ও শক্তিশালী ভাষণে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘এই নির্বাচনকে আমি মেনে নিচ্ছি, তবে এই প্রচারণা চালাতে গিয়ে লড়াইয়ের যে শক্তি আমি পেয়েছি, সেটির পরাজয়কে আমি স্বীকার করছি না।’

ট্রাম্পের চমকে দেওয়া বিরাট বিজয়ের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কমলা কড়া ভাষায় বলেন, ‘আমি জানি, অনেক মানুষই অনুভব করছেন, আমরা একটি অন্ধকার সময়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘সবার ভালোর জন্য সেটি কোনো কারণ হয়ে থাকবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রচারণা কাজে কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে সমালোচনা করে আসছিলেন। তবে এত সমালোচনা করলেও ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর তাকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমলা হ্যারিস।
এক যুগেরও বেশি সময় কট্টরপন্থি ও বিঘ্ন সৃষ্টিকারী রাজনীতির আড়ালে মার্কিন রাজনীতিতে ট্রাম্পের এই বিজয় তাকে রাতারাতি হোয়াইট হাউসে ফিরে আসতে সহায়তা করেছে। ফোজদারী অপরাধে দণ্ডিত হওয়াসহ দুইবার অভিসংশনের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প তার সাবেক চিফ অব স্টাফের কাছ থেকে ফ্যাসিস্ট তকমাও লাভ করেছিলেন।
তবে বুথফেরত জরিপে দেখা যায়, ভোটারদের শঙ্কার জায়গাটি ছিল দেশের অর্থনীতি নিয়ে। কোভিড অতিমারীর কারণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে মূল্যস্ফীতি আলাদা মাত্রা পেয়েছিল, যার প্রভাব পড়েছে জনতার রায়ে।