আলোকচিত্রে নেপালের ভূমিকম্প
গ্যালারি চিত্রকে ঢুকতেই হাতের বামে সিঁড়ির দিকে তাকালেই চোখে পড়বে ভাঙাচোরা ইট-কাঠ, পানির বোতল, সেখানে সিমেন্টের সুরকির মধ্যে পড়ে আছে দুটি বিধ্বস্ততার ছবি। চিত্রকের মধ্য ব্লকে ঢোকার পর হঠাৎ আঁতকে উঠবে যে কেউ, গ্যালারির এই দেয়ালটি ফেটে চৌচির, যেন যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে, সেই দেয়ালে ঝুলানো আলোকচিত্রটি দেয়ালের অংশ না আলাদা তা এক নজরে বোঝা মুশকিল, টেবিলের ওপর ফাঁকা প্লেট, জগ আর একটি ছবির ওপর ও মেঝেতে পড়ে আছে ইট-সিমেন্টের সুরকি সব মিলিয়ে গ্যালারি চিত্রকই যেন এক ভয়ানক ধ্বংসস্তুপ।
২৫ এপ্রিল নেপালে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের পরের আলোকচিত্র নিয়ে গত ৫ জুন বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে ধানমণ্ডির গ্যালারি চিত্রকে ‘নেপাল-রেসিলেন্স অ্যান্ড রিজন্স’ শিরোনামে শুরু হয়েছে আলোকচিত্রী আবীর আবদুল্লাহর সাত দিনব্যাপী একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং সাথে রয়েছে কয়েকটি ইনস্টলেশন আর্ট যার মাধ্যমে আরো বাস্তবিকভাবে ফুটে উঠেছে নেপালে ভূমিকম্পের নির্মম চিত্র ।
নেপালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর টানা আট দিন সেখানে যেসব ছবি তুলেছেন তার মধ্যে ৯৫টি আলোকচিত্র রয়েছে এই প্রদর্শনীতে। আলোকচিত্রী আবীর আবদুল্লাহ বলেন, ‘নেপালের এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সেখানকার ধ্বংসস্তূপ, অসহায় মানুষ, আবার এই অসহায় মানুষগুলোর নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন-সংগ্রাম সবই আমার আলোকচিত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘যদিও বড় ক্ষতি হয়নি কিন্তু একই দিনে আমাদের এখানেও ভূমিকম্প হয়েছে। আমরা ঢাকার বাইরে চট্রগ্রামসহ ভূমিকম্পে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ শহরগুলোতে এই প্রদর্শনী করতে চাই, যার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে যেন সচেতনতা সৃষ্টি হয়।
প্রদর্শনীটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন স্থপতি রবিউল হোসেন, ক্যামেরার কবি নাসির আলী মামুন এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলম। প্রদর্শনীটি ১১ জুন প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।