মুর্তজা বশীরকে নিয়ে ‘নার্সিসাসে প্রজাপতি’র মোড়ক উন্মোচন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/02/03/photo-1549184801.jpg)
বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী, লেখক ও গবেষক মুর্তজা বশীরের জীবনচরিত ও বোধের আলেখ্য নিয়ে লেখক মিরাজুল ইসলামের লেখা ‘নার্সিসাসে প্রজাপতি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল শনিবার বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘর বই বিক্রয় কেন্দ্রে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, লেখক হাসনাত আব্দুল হাই ও মুর্তজা বশীর নিজে। বইটি প্রকাশ করেছে প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা। প্রচ্ছদ করেছেন রাসেল কান্তি দাশ। মূল্য ২৫০ টাকা।
বইমেলায় অবসর প্রকাশনীর ৫ নম্বর প্যাভিলিয়নে বইটি পাওয়া যাবে। শিল্পী মুর্তজা বশীরের সাথে সুদীর্ঘ ২২ বছরের যোগসূত্র থেকে লেখক মিরাজুল ইসলাম তাঁর একান্ত অনুভূতি থেকে বইটি লিখেছেন।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘মুর্তজা বশীরের প্রতিভা অনেক। মুর্তজা বশীর সম্পর্কে আমি নিজেও অনেক লিখেছি। মিরাজুল ইসলাম যে বইটি লিখেছেন সেখানে তিনি মুর্তজা বশীরের অনেক বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ লেখকের সঙ্গে মুর্তজা বশীরের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল।’
মুর্তজা বশীর বলেন, ‘আমাকে ভালোবেসে মূলত আনিসুজ্জামান লিখেছেন। এক সময় আমি চাইনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কেউ লেখুক। হাসনাত আবদুল হাইকে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লিখতে মানা করেছিলাম। কিন্তু এখন মানা করব না। তিনি লিখতে পারেন। মিরাজুল ইসলাম আমাকে নিয়ে যে বইটি লিখেছেন সেখানে আমার ব্যক্তিগত দুটি ঘটনা রয়েছে।’
লেখক মিরাজুল ইসলামের বইয়ের শেষ অধ্যায় ভারো লেগেছে বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে মতিউর রহমান বলেন, ‘মিরাজুল ইসলামের লেখা নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষত শেষ দুটি অধ্যায় আমার খুব ভালো লেগেছে।’
অন্যদিকে, লেখক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মুর্তজা বশীরকে এই বইয়ের মাধ্যমে ধারণ করার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করব মানুষ তাঁকে পাঠ করবে। তাঁর উপর প্রকাশিত লেখাকে ভালোবাসবে, এভাবে মানুষ শিল্পীকে ধারণ করবে।’
অনুষ্ঠানে শিল্পী মনসুর উল করিম, ইউনিভার্সিটি অব লিব্যারেল আর্টসের অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার চৌধুরী এবং প্রতীক প্রকাশনীর নূর ই মোন্তাকিম আলমগীরসহ অনেকে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লেখক লুৎফুল হোসেন।