আক্রান্ত বাড়ছে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জে : আইইডিসিআর
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪ জন হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দুই হাজার ১৪৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলো। নতুন করে সুস্থ হয়েছে আটজন । এ নিয়ে মোট ৬৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হলো।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ঢাকা শহরে রয়েছে,যা শতকরা ৩২ ভাগ। এরপর রয়েছে পাশের জেলা গাজীপুর। গাজীপুরে নতুন অনেক শনাক্ত হয়েছে।
ডা. ফ্লোরা বলেন, এর আগে যারা শনাক্ত হয়েছিলেন তারা বেশিরভাগই নারায়ণগঞ্জ থেকে গেছেন। গাজীপুরের পরই নতুন সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জে। গত তিনদিন আমরা যেসব রোগীর কথা বলছি, সেটা আমাদের পরীক্ষার প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে। এখানে একদিনের তথ্য পেন্ডিং ছিল। ১৬ তারিখের আক্রান্তদের তথ্যের সঙ্গে কিছু আক্রান্তের তথ্য ছিল ১৫ তারিখের। সেটাকে আমরা নতুন তারিখ অনুযায়ী বিভাজন করেছি। নতুন বিভাজন করার পর আমরা এটাকে সংশোধন করেছি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিউটের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, নরসিংদীতে ৬৫ জন ও কিশোরগঞ্জে ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে আজকের তথ্য এখনো ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়নি।
ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নয়জন মৃত্যুবরণ করেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪ জন হয়েছে। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী একজন , ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী দুজন ও ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী একজন । বাকি একজনের তথ্য পাওয়া যায়নি। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ছয়জন, নারায়ণগঞ্জে দুজন ও ঢাকার সাভারে একজন রয়েছে।
আইইডিসিআরের পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৯০ জনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০৬ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুই হাজার ১৪৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলো। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৫৬৪ জন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছে। এ ছাড়া দেশে মোট ২১ হাজার ৩০৭ জনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, নতুন করে সুস্থ হয়েছে আটজন । এ নিয়ে মোট ৬৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হলো। আক্রান্তদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২৭ ভাগ রোগী, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২২ ভাগ রোগী ও ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৯ ভাগ রোগী রয়েছে।