ঈদের জামাত এবারও মসজিদে, কোলাকুলি মানা
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত প্রেক্ষাপটে উন্মুক্ত স্থানে বড় পরিসরে আসন্ন ঈদুল আজহার জামায়াত পরিহার করে মসজিদে আদায় করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার ঈদের জামাত আদায় সংক্রান্ত ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট ঈদুল আজহার দিন ধরে সরকার তিন দিন ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে এই ছুটির সময়ে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের কর্মস্থলেই থাকতে হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আজকের প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে-
ক. বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিজনিত ওজরের কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদুল আজহার জামায়াত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত আদায় করা যাবে।
খ. ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
গ. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
ঘ. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
ঙ. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।
চ. ঈদের জামায়াতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
ছ. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
জ. শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো ধরনের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামায়াতে অংশগ্রহণ করবেন না।
ঝ. সর্বসাধারণের সুরক্ষার নিমিত্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
ঞ. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
ট. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা হলো।
ঠ. খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার অনুরোধ করা হলো; এবং
ড. পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটি উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।