উত্তরের জেলা দিনাজপুরে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন
উত্তরের জেলা দিনাজপুরে গত এক সপ্তাহ ধরে কনকনে শীত বিরাজ করছে। সকাল থেকে মেঘলা আবহাওয়া ও হিমেল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মেঘলা আকাশে সূর্যের লুকোচুরি খেলা চলছে। কখনো সূর্য উঠছে আবার কখনো আড়াল হয়ে যাচ্ছে। ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। গত এক সপ্তাহ ১০ থেকে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।
এ দিকে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কাজে যেতে পারছেন না। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চলছে নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষের।
সন্ধ্যার পর শহর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। খুব বেশি কাজ না থাকলে কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না।
নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। শীতে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তারা। মানুষের মত শীতে কষ্ট পাচ্ছে গরু, ছাগল ও অন্যান্য পশু-প্রাণিগুলো।
ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বয়স্ক মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ বেড ও সদর হাসপাতলে ৩০ বেড এবং অরবিন্দ শিশু হাসপাতালে ১০০ বেড রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। হাসপাতালগুলোতে বেডের বাইরেও মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। এই তিনটি হাসপাতালে প্রায় ১৫০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
জানা গেছে বিশেষ করে ডায়ারিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ জ্বর ও সর্দি রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বেশি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, দিনাজপুরে আজ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আরও দুই দিন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।