এই মাসই দুর্দশার শেষ মাস : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, এই মাসই দুর্দশার শেষ মাস। আগামী মাস থেকে এসব সমস্যা থাকবে না। তিনি আরও বলেছেন, জ্বালানি তেল ও জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের ঘাটতিতে দেশের মানুষর কষ্টে আছেন। মানুষের কষ্ট দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কষ্ট পান।
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার কালীবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে আজ শুক্রবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা আন্দোলনের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘মানুষের কষ্ট দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কষ্ট পান। আমরা সাময়িক অসুবিধায় আছি। তবে এই মাসই দুর্দশার শেষ মাস। আগামী মাস থেকে এসব সমস্যা থাকবে না। আমরা আবার উন্নয়নের দিকে যাব। জিনিসপত্রের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নাই। আমরা সবাই বাঙালি এবং বাংলাদেশের নাগরিক। ধর্ম যেমন প্রতিষ্ঠা পাবে, তেমনি সততা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অসাম্প্রদায়িকতা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, সেইভাবে বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাংঙ্গ পদ দাস।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বিমান কান্তি রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নূরুল হুদা, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, প্রবীণ শিক্ষক যোগেশ্বর দাস প্রমুখ।