এখনও জ্বলছে কনটেইনার, চলছে উদ্ধারকাজও
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজ রোববার দুপুর ৩টা নাগাদ প্রায় ১৮ ঘণ্টা পরও অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণ বন্ধ হয়নি। ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি। আগুন যেন এই এলাকার বাইরে সমুদ্র এলাকায় যেতে না পারে, সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখনও বিস্ফোরণ ঘটছে এবং কনটেইনারের ভেতরে আগুন জ্বলছে। একইভাবে উদ্ধারকাজও চলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট, সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ বিশেষ টিম কাজ করছে। তবে, আগুন ডিপো এলাকায় সীমাবদ্ধ রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের আট সদস্য রয়েছেন বলেও জানা যায়। এ ছাড়া নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে। একেক কেমিক্যাল একেক ধরনের, সেজন্য সময় লাগছে। তাছাড়া মালিকপক্ষ কেউ না থাকায় কোথায় কোন কেমিক্যাল রয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। তবে, আমরা চেষ্টা করছি আগুন যেন সমুদ্র এলাকা পর্যন্ত যেতে না পারে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। কিছু পরে ঘটনাস্থলে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের আরও সাতটি ইউনিট। ভোরের দিকে আশপাশের জেলা থেকে পাঁচটিসহ ১০টি ইউনিট যোগ দেয়। তবে, বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ আশপাশে যেতে পারেননি। এর সঙ্গে যোগ হয় পানির স্বল্পতা। ডিপোতে কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের সংখ্যাও বেড়ে চলছে। সেখানে ভর্তি হওয়া আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা সাড়ে চারশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।