ওয়াসার এমডিকে কত সুবিধা দেওয়া হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে গত ১৩ বছরে কত টাকা বেতন-বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দাখিলের জন্য ওয়াসার বোর্ডের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর পক্ষ থেকে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
সেই সাথে ঢাকা ওয়াসার এই এমডিকে অপসারণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘পারফরম্যান্স বোনাস’ হিসেবে প্রণোদনা দেওয়ার ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কোনো বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণ করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেওয়া হয়।
বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৩১ জুলাই কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ওই রিট করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
পরে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিধি প্রণয়ন ছাড়া পানির মূল্য নির্ধারণ ১৯৯৬ সালের ওয়াসা আইনের ২১ ও ২২ ধারার পরিপন্থী। ওয়াসা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, কোম্পানি নয়। যে কারণে ওয়াসার কর্মীরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা জাতীয় পে-স্কেল অনুসারে বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন। তাই ওয়াসার কর্মীরা কোনো “পারফরম্যান্স বোনাস” ও “পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড” (উৎসাহ বোনাস) পেতে পারেন না। ওয়াসার কর্মীদের “পারফরম্যান্স বোনাস” দেওয়ার ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।