কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে বিল্লাল হোসেন (৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় ছয় পুলিশসহ উভয়পক্ষের অনন্ত ২৫ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার সান্দিয়ারা গ্রামে আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিল্লাল হোসেন সান্দিয়ারা গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। তিনি পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ দুপুরে পান্টি ইউনিয়নের সান্দিয়ারা বাজারে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধ নিয়ে দুদল গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করতে থাকে। খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে এবং রাবার বুলেট ছুড়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে বিল্লাল হোসেন নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত এবং পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, গ্রাম্য বিরোধ নিয়ে দুদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে বিল্লাল নামের একজন নিহত হয়েছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ছয় পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।