কেমিক্যাল সমুদ্রে ছড়ানোর শঙ্কা, ড্রেনে বাঁধ দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টায় সেনাবাহিনী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে রাসায়নিক পদার্থ। ড্রেনের মাধ্যমে রাসায়নিক পদার্থ সমুদ্রে ছড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ তৈরি করে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী।
এ বিষয়ে চট্রগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করার জন্য সকাল থেকেই এখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পরে রাসায়নিক পদার্থ ড্রেন দিয়ে সমুদ্রে পৌঁছাতে পারে বলে আমাদের ধারণা। এটি যাতে সমুদ্রে পৌঁছাতে না পারে, সেজন্য বালু দিয়ে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
মনিরা সুলতানা আরও বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করতে পেরেছি, এখানে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড আছে। এখনও ভেতরে আগুন জ্বলছে। যদিও এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই রাসায়নিক পদার্থ শুরু থেকেই ড্রেন দিয়ে বেশি আকারে প্রবাহিত হচ্ছিল, এখন এটা অনেকটাই বন্ধ করা গেছে।’
এদিকে, সিএমএইচে যাঁরা আহত অবস্থায় রয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার কাজেও নিয়োজিত আছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ এখন পর্যন্ত ৩৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডিপোতে কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
এদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের আট সদস্য রয়েছেন বলেও জানা যায়। এ ছাড়া নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।