সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মো. সহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া যে অভিযোগের আসামি, আমার মনে হয় না সেখানে জামিন দিতে কোনো বাধা আছে। এই অভিযোগে তো মৃত্যুদণ্ড হয় না। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিনের ব্যাপারে শিথিলতা আছে। কিন্তু খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য। তিনি জামিন পেতে পারেন।’

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে অংশ নিয়ে বিচারপতি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, এখন সত্যের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে না পারি তবে আমরা কেউ আমাদের অধিকারগুলো ফিরে পাবো না।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, একটা রাষ্ট্র কতটা সভ্য তা বোঝা যায় সেই রাষ্ট্রের মানবাধিকারের সূচক দেখে। কিন্তু দুঃখজনক বাংলাদেশে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। বাংলাদেশে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। যেখানে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা নেই সেখানে মানবাধিকারের বিষয়টি তো বহুদূর। তিনি বলেন, সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে। কিন্তু মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। আজকে প্রতি বছর সাত লাখ মানুষ বিদেশে চিকিৎসার জন্য যায়। সরকারি দলের একটি ছোট ছেলেও অসুস্থ হলে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আর খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হয় না। এটা কোনো সভ্য দেশে কল্পনাও করা যায় না।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাঁর চিকিৎসার অধিকারটুকু পাচ্ছেন না। তাঁর চিকিৎসার জন্য টানা তিন সপ্তাহ এখানে কর্মসূচি করা হচ্ছে। সরকার কোনো কর্ণপাত করছে না।

নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন নিউ নেশন সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট বারের সিনিয়র সহসভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, সাপ্তাহিক আইনপক্ষের সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।