ঘরে ঘরে পুলিশি পাহারা দেওয়া সম্ভব না : সিইসি
ঘরে ঘরে পুলিশি পাহারা দিয়ে নির্বাচনি সহিংসতা ঠেকানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা এড়াতে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সহনশীল আচরণ করার তাগিদ দেন।
আজ বুধবার চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, যারা নির্বাচনে সম্পৃক্ত তাদের মধ্যে নির্বাচনসুলভ আচরণ ও সহনশীলতা থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘ঘরে ঘরে, মহল্লায় মহল্লায় পুলিশি পাহারা দিয়ে এ জাতীয় অপ্রীতিকর ঘটনা থামানো যায় না। সবচেয়ে বেশি জোর দিব যারা নির্বাচন পরিচালনা করেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং যারা ভোটার তাদের মধ্যে সহনশীলতা থাকতে হবে।’
চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচন ২৩ ডিসেম্বর
চতুর্থ ধাপে দেশের ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর। আজ নির্বাচন কমিশনের (ইউপি) বৈঠকে এই নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠক শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার তফসিল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৯ নভেম্বর, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ ডিসেম্বর ও ভোট গ্রহণ হবে ২৩ ডিসেম্বর।
একই তফসিলে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা, পাবনার আটঘরিয়া ও নরসিংদীর রায়পুরা পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে আগামীকাল দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬টি ইউপিতে নির্বাচন ও তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর এক হাজার সাতটি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৭টি দল প্রার্থী দিয়েছে। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কংগ্রেস, জাকের পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাসদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
এরই মধ্যে প্রথম ধাপে ৩৬৯ ইউপিতে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে ইসি।