ঘুষখোরদের পরিণতি সুখকর হবে না : দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেছে বলে বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল যে জরিপ প্রকাশ করেছে, তাতে দুদকের দায়িত্ব আরো বেড়েছে।
এ সময় ইকবাল মাহমুদ আরো বলেন, ‘গণশুনানির মাধ্যমে তৃণমূলের সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারে কর্মরত কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালনের নামে ঘুষের মতো ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত হচ্ছেন। এদের পরিণতি সুখকর হবে না। আজ হোক, কাল হোক তদের কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন।
‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার এশিয়া-২০২০’ শীর্ষক টিআই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপের প্রতি আস্থাশীল দেশের ৮৭ ভাগ মানুষ।
২০১৯ সালের মার্চ থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জরিপের ভিত্তিতে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়া মানুষদের ৪৭ শতাংশ বিশ্বাস করে বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেছে। আর ৪০ শতাংশ মনে করে বেড়েছে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘জনগণ দুর্নীতিপরায়ণদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রদর্শন করে বলেই, দুদকের প্রতি তাদের আস্থা ব্যক্ত করেছে। এর মধ্য দিয়ে দুদকের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। জনগণের আস্থাকে টেকসই করতে হবে। দুদককে নিরবচ্ছিন্নভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হলে দুর্নীতি শনাক্তকরণ, অনুসন্ধান, তদন্ত ও প্রসিকিউশন নিখুঁতভাবে করার বিকল্প নেই। কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতিপরায়ণদের কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে হবে যে, দুর্নীতি করলে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। কঠোর শাস্তি পেতে হবে।’ তিনি বলেন, দুর্নীতি করে যারা দেশের বাইরে পালিয়ে আছে, দুদক তাদের পিছুও ছাড়বে না।
‘টিআই-এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশে এখনো ব্যাপকভাবে ঘুষ-দুর্নীতি রয়েছে বলেও উঠে এসেছে। বিশেষ করে সরকারি সেবায় ঘুষের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধে কমিশন প্রায় প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছে। বিগত পাঁচ বছরে ফাঁদ মামলার মাধ্যমে অসংখ্য ঘুষখোরকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের কারো কারো বিচারিক আদালতে সাজাও হচ্ছে’, যোগ করেন চেয়ারম্যান।