ঘূর্ণিঝড়ে লালমোহন-চরফ্যাশনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, আহত ১৫
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/11/10/bhola-bulbul_0.jpg)
ছবি : এনটিভি
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। এ সময় গাছ ও ঘরের নিচে চাপা পড়ে শিশুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত ব্যক্তিদের ভোলা সদর হাসপাতালসহ লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত থেকে হঠাৎ করেই ভোলায় ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত পাশের সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেন অনেকেই।
এ সময় ভোলার চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ, পেয়ারি মোহন ও চর উমেদ নামক স্থানে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। উপড়ে যায় অসংখ্য গাছপালা। এ সময় গাছ ও ঘরের নিচে চাপা পড়ে শিশুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে লর্ড হার্ডিঞ্জ এলাকার এক ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতাল এবং অন্যদের লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া জেলায় ঝড়ো বাতাস ও ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এদিকে গভীর রাত থেকে উত্তাল মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী।
চরফ্যাশনের চর কুকরী-মুকরীর ব্যবসায়ী মো. হোসেন জানান, গতকাল তেমন কিছু না হলেও গভীর রাত থেকে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস আর ভারিবর্ষণ হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে সবাই রাতেই নিরাপদ আশ্রয় সাইক্লোন শেল্টারে ছুটতে শুরু করেন। এ ছাড়া স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীর পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢালচরের মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহ আলম ফরাজী জানান, প্রচণ্ড উত্তাল মেঘনা নদী। বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে। এ ছাড়া জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ের ভয়ে বেশ কিছু মানুষ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
মনপুরা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ওয়্যারলেস অপারেটর মো. সহিদুল ইসলাম জানান, ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাতের ফলে রাত থেকেই মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আসতে শুরু করে। এর আগে প্রশাসনের লোকজন গিয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তখন কম সংখ্যক আসেন। তবে রাতে ঝড় শুরু হলে সবাই দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে ছুটতে শুরু করেন।