ছাত্রদল নেতার কবর জিয়ারতে বাধা : বাঞ্ছারামপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার কবর জিয়ারতকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুরে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহীনসহ তার লোকজনের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিএনপি নেতা ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সায়দুজ্জামান কামাল, বিএনপির সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে অধ্যাপক খন্দকার আকবর হোসেন বাবলুসহ ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার কবর জিয়ারত ও তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করতে উপজেলার চরশিবপুর গ্রামের দিকে রওয়ানা হয়। তারা দুপুরে উপজেলার চরশিবপুর নৌঘাটে পৌঁছলে সেখানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শাহিন এবং তার লোকজন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাঁধা দেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাঁধা অতিক্রম করে চরশিবপুর গ্রামে গিয়ে নয়নের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় বাঁধা দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে চরশিবপুর গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হন।
পরে গ্রামবাসীর সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন ও তার লোকজনের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষের অন্তত ২০জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম বলেন, গ্রামের লোকজনের সঙ্গে চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়ন মিয়া।