টেকনাফে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই ডাকাত গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী জুম্মাপাড়ার গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই ডাকাতকে আটক করেছে র্যাব-১৫। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়।
আটককৃতরা হলেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড রঙ্গীখালী জুম্মাপাড়ার হেলাল উদ্দিন (২০) ও একই এলাকার মো. ইসমাইল (২৫)। এরা টেকনাফের দুর্ধর্ষ ডাকাত ফরিদুল আলম গ্রুপের সদস্য বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-১৫-এর কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অ্যান্ড অপারেশন) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী আজ সোমবার দুপুরে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার রঙ্গীখালী পাহাড়ে জুম্মাপাড়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাত ফরিদুল আলম গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধ করার জন্য পরিকল্পনা করছিল। এ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫-এর চৌকস আভিযানিক একটি দল আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হ্নীলা রঙ্গীখালী জুম্মাপাড়া পাহাড়ে অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ছত্রভঙ্গ ছয় থেকে সাতজন সশস্ত্র ডাকাত পাহাড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে দুই ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব সদস্যরা। অন্য ডাকাত সদস্যরা পাহাড়ে পালিয়ে যায়। আটকদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় অবৈধ একটি এসবিবিএল, চারটি ওয়ানশুটার গানসহ পাঁচটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র।
র্যাব কর্মকতা জানান, কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায় ফরিদুল আলম গ্রুপ কুখ্যাত ডাকাত দল হিসেবে পরিচিত। ওই ডাকাত দল রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ আশপাশ এলাকায় ডাকাতি, ধর্ষণ, অপহরণ, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা, মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। ডাকাত ফরিদুল আলমের দাম শুধু ডাকাতির সঙ্গেই জড়িত নয়, তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অন্য ডাকাত দলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ যোগান দিয়ে আসছিল। বিভিন্ন ব্যক্তিকে অপহরণের পর তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ই ছিল ডাকাত দলের নিয়মিত ঘটনা।
আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওই র্যাব কর্মকর্তা।