ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেওয়াসহ নানা অভিযোগে শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভায় দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ঠেংগার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুলকুড়ি মজিদ মাদবরের বাড়ি ফোরকানিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

আজ সকাল ৮টা থেকে এ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। তবে সাতটি কেন্দ্রের ফলাফলে মেয়র পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এইচএম গোলাম মোস্তফা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর সোয়া ২টার দিকে কুলকুড়ি মজিদ মাদবরের বাড়ি ফোরকানিয়া মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) মাস্টার কামাল উদ্দিন আহমেদের সমর্থকরা। এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটাররা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় ভোটাররা উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিস্থিতির কথা জানালে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ কেন্দ্রে আসে। পরে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে ঠেংগার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী লোকমান হোসেন (উটপাখি) ও শাহ আলী গোলদার বাদলের (পাঞ্জাবি) সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় অন্তত তিনজন আহত হন। ঘটনার সময় আশেপাশের নারীরা ঝাড়ু নিয়ে বের হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সঙ্গে সঙ্গে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন।

 ডামুড্যা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সহকারী রিটারনিং কর্মকর্তা  এইচএম গোলাম মোস্তফা জানান, দুটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়নি। তাই কেন্দ্র দুটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ইলেকশন কমিশনের নির্দেশনা পেলে পরিবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাতটি কেন্দ্রর ফলাফলে জগ মার্কার মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল এগিয়ে রয়েছেন।

 চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।