আ.লীগ নেতা কিবরিয়া হত্যায় জড়িতরা হাসিনার কাছের লোক : ড. রেজা
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, বিভিন্ন কারণে আমার বাবার সঙ্গে সালমান এফ রহমানের শত্রুতা ছিল। তিনি তার ব্যাংকের দুর্নীতি ও শেয়ার মার্কেটের কেলেঙ্কারির জন্য আমার বাবার ওপর ক্ষেপেছিলেন। সেই কারণে সালমান এফ রহমান এ এম এস কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডে পুরো ফান্ডিং করেছে। হত্যায় জড়িত সবাই শেখ হাসিনার প্রিয় লোক।
আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগনেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন তার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রেজা কিবরিয়া বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় হবিগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবু জাহির, সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ খান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী মিলে আমার বাবা শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করেছেন। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতা জি কে গউছ সহায়তা দিয়েছেন।
রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, বিভিন্ন কারণে আমার বাবার সঙ্গে সালমান এফ রহমানের শত্রুতা ছিল। তিনি তার ব্যাংকের দুর্নীতি ও শেয়ার মার্কেটের কেলেঙ্কারির জন্য আমার বাবার ওপর ক্ষেপেছিলেন। সেই কারণে সালমান এফ রহমান এ হত্যাকাণ্ডে পুরো ফান্ডিং করেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা সবাই শেখ হাসিনার প্রিয় লোক। তাই হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। অসমাপ্ত তদন্তের ভিত্তিতে সুষ্ঠু বিচার হতে পারে না। আমি আশাবাদী এ সরকারের সময়ে না হয় ভবিষ্যতে একটা বিচার হবে। শুধু কিবরিয়া হত্যা নয়, হাজার হাজার পরিবার স্বজন হারানোর বিচার পায়নি। আমরা সেই বিচারের অপেক্ষায় রইলাম।
শাহ এ এম এস কিবরিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও হবিগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ, শোক র্যালি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
২০০৫ সালের এই দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ পাঁচজন নিহত হন। এতে আহত হন ৪৩ জন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। কিন্তু দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে প্রায় আট বছর আগে। কিন্তু নানা কারণে বিচারকার্যে বিলম্ব হচ্ছে। এ অবস্থায় বিচার নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা। বর্তমানে ওই মামলা সিলেট স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।