ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপালের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচার আইনের মামলায় বরখাস্ত হওয়া সিলেটের কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার আদালতে আবেদন করা হলে শুনানি শেষে বিচারক এই আদেশ দেন।
এদিকে গত ১৭ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত ডিআইজি প্রিজনসের জামিন মঞ্জুর করেন। সেই জামিনের পরে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। গত বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন অভিযোগপত্র দেন।
একই বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ-১০ আদালতে বদলি করেন। গত বছরের ৪ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম আসামি পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের নিজ ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফ বলেন, তাঁর ঘোষিত আয়কর ফাইলে এ টাকার ঘোষণা নেই। আমাদের মনে হয়েছে, এই টাকা অবৈধ আয় থেকে অর্জিত।
ডিআইজি পার্থ দাবি করেছেন, ৮০ লাখ টাকা তাঁর বৈধ আয় থেকে অর্জিত। এর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা শাশুড়ি দিয়েছেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা সারাজীবনের জমানো।