দুর্নীতি : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কালো তালিকায় ১৪ ঠিকাদার
দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ ঠিকাদার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে নাম উঠে আসার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব প্রতিষ্ঠানের নাম দেশের সব হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণসহ ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনা এবং দুর্নীতি, প্রতারণা ও চক্রান্তমূলক কার্যকলাপে জড়িত ছিল ১৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান ও তাদের মালিকদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক মামলা করেছে।’
কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীর সঙ্গে কোনো প্রকার দাপ্তরিক ক্রয় সংক্রান্ত কাজে সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদার ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, রুবিনা হক (রূপা ফ্যাশন), মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মুন্সী ফররুখ হোসাইন, মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন অ্যান্ড মেসার্স এস কে ট্রেডার্সের মনজুর আহমেদ, এম এইচ ফার্মার মোসাদ্দেক হোসেন, মেসার্স অভি ড্রাগসের মো. জয়নাল আবেদীন, মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির মো. আলমগীর হোসেন, এস এম ট্রেডার্সের মো. মিন্টু, মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. আব্দুস সাত্তার সরকার ও মো. আহসান হাবিব, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির মো. জাহের উদ্দিন সরকার, ইউনির্ভাসেল ট্রেড করপোরেশনের মো. আসাদুর রহমান, এ এস এলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ এবং ব্লেয়ার এভিয়েশনের মো. মোকছেদুল ইসলাম।