নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বাংলা বিড়ি জব্দ, রাজস্ব ফাঁকির মামলা

পাবনার দুলাই থেকে ১৫ লাখ নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বাংলা বিড়ি জব্দ করেছে পাবনা রাজস্ব বিভাগ। এ ব্যাপারে বাংলা বিড়িসহ দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আজ সোমবার পাবনার রাজস্ব বিভাগ অভিযান চালিয়ে নকল ব্যান্ডরোল লাগানো ১৩ লাখ ৫০ হাজার বাংলা বিড়ি জব্দ করে। পরে আরেকটি কোম্পানির নকল ব্যান্ডরোল লাগানো ৮০ হাজার বিড়ি জব্দ করা হয়। এতে সরকারকে সাড়ে চার লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, এই গ্রাম থেকে প্রতিদিন রাতে ট্রাকে করে লাখ লাখ নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এ বিড়িগুলো দুলাইসহ আশপাশের গ্রামে তৈরি করা হয়। আরও অনেক ব্র্যান্ডের বিড়ি রয়েছে সেসব বিড়ির বেশির ভাগই বাজারজাত হয় নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে। অভিযোগ রয়েছে জব্দককৃত নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ির বেশির ভাগই টাকার বিনিময়ে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এর আগে শিহাব বিড়িরও বড় একটি চালান জব্দ করা হয়। পরে সে বিষয়ে আর কিছু জানা যায়নি।
পাবনা কাস্টমস সূত্র জানায়, পাবনার বিভিন্ন বিড়ি কারখানার মালিক দীর্ঘদিন ধরে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন। এ জন্য তাঁরা যোগসাজশ করে একাধিক স্থানে গোপনে বিড়ির কারখানা স্থাপন করেছেন। তাঁরা প্রধান কারখানায় তৈরি করা বিড়ির প্যাকেটে আসল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করলেও শাখা কারখানাগুলোতে তৈরি বিড়ির প্যাকেটে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে আসছে। এতে সরকার বিশাল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই গ্রামে এমন বেশ কয়েকটি বিড়ির কারখানা গড়ে উঠেছে যেখান থেকে নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি সরবরাহ করা হয়। এসব বিড়ির কারখানা দুলাই এলাকা ছাড়াও সাঁথিয়ার বিভিন্ন গ্রামে স্থাপন করা হয়েছে। কয়েকটি বিড়ির প্রধান কারখানা সাঁথিয়ায় হলেও নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিতে শাখা কারখানা করা হয়েছে দুলাই ও চরদুলাই এলাকায়। এসব শাখায় বিড়ি তৈরি করে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায়।
পাবনার ডেপুটি কমিশনার (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) শরিফ মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, ২৫ শলাকা বিড়ির প্রতি প্যাকেটের গায়ে লাগানো একটি ব্যান্ডরোলের জন্য সরকারকে ৪৫ শতাংশ (আট টাকা) ভ্যাট ও ট্যাক্স দিতে হয়।
পাবনা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন জানান, বাংলা বিড়ির কারখানা থেকে নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি জব্দ করা হয়েছে এবং মালিকের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বাংলা বিড়ি কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেনি।