নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ : বিদ্যুৎমিস্ত্রি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় এক বৈদ্যুতিক মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এদিকে, আজ রোববার সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিআইডি। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের কোনো প্রকার অবহেলা ছিল কিনা, তা উদঘাটন করার চেষ্টা করছিল তারা। জিজ্ঞাসাবাদের পর স্থানীয় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারককে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাবুল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া মোবারক বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া আরো কয়েকজন নজরদারিতে রয়েছে।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন জানান, বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা জোনের বিদ্যুৎ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিতাসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুদিন রিমান্ডের আজ প্রথম দিন। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অবহেলার বিষয়টি উদঘাটন করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ইমাম হোসেন আরো বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণ একটি জাতীয় ইস্যু। গুরুত্বের সঙ্গে এই তদন্তকাজ চলছে। এলাকায় বাড়িঘর নির্মাণকারী এবং মসজিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরও পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে। যাদের অবহেলায় ঘটনা ঘটেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা কার্যালয়ের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠান। গতকাল সকালে আসামিদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওই কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করেছিল তিতাস কর্তৃপক্ষ।
রিমান্ডে যাওয়া আট কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন তিতাসের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, প্রকর্মী মো. ইসমাইল, সাহায্যকারী হানিফ মিয়া, সিনিয়র উন্নয়নকারী আইয়ুব আলী ও সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মনিবুর রহমান চৌধুরী।