ন্যায়বিচার পাব এই শর্তে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে : ডা. জাফরুল্লাহ
পঞ্চাশের বেশি সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন কল্যাণ পার্টির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। আজ শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডির এক রেস্তোরাঁয় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে অন্য কেউ বিদায় করবে না, রাজনৈতিক দলকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন উপস্থিত বক্তারা।
২০২০ সালের জন্য শুকরিয়া আদায় এবং ২০২১ সালের জন্য দোয়া কামনা করে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় দোয়ার আয়োজন করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। সেখানে যোগ দেন অর্ধশতেরও বেশি সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক আমলা, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদ। বর্তমান সরকারের সময়ের মতো দুঃসময় বাংলাদেশের ৫০ বছর সময়কালে আর আসেনি বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘যারা বৈষম্য সৃষ্টি করে, দেশের সম্পদ লুট করে, তারা সবচেয়ে বড় দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী শক্তি। এবং আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী সবচেয়ে বড় শক্তি এখন ক্ষমতায় আছে। আমি অনেস্টলি বিশ্বাস করি।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তি তারা যে দল করেন, তাদের যে শক্তি আছে, এগুলো সবাই মিললে এই সরকারের পতন ঘটতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আপনি সুষ্ঠু বিচার পাবেন অন্তত একটা শর্তে হলেও আমরা সবাই যেন রাস্তায় নামতে পারি। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।’
একাত্তরে তরুণ প্রজন্ম পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে যেভাবে অসীম সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিল সেই সাহস বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের মধ্যে নেই বলে হতাশা ব্যক্ত করেন রাজনীতিবিদেরা। তারপরও সব রাজনৈতিক দল একই লক্ষ্যে রাজপথে নামলে দাবি আদায় করা সম্ভব বলেও জানান তাঁরা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের অবসনা চাই, দুঃশাসনের অবসান চাই। গণতন্ত্র আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। ভোটধিকার চাই, মানবিক অধিকার চাই, সাম্য চাই, ন্যায়বিচার চাই, মর্যাদা চাই। এটা উত্তর দিক থেকে কেউ দিবে না, দক্ষিণ দিক থেকেও কেউ দিবে না। এটা একমাত্র আমরা রাজপথে নেমে আদায় করতে পারি।’
কল্যাণ পার্টির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। একে পরিচালনা করে আমাদের সংবিধান। সংবিধান পরিচালনা করে আমাদের জনগণ। এবং এই মূল মন্ত্রে যদি আমরা এক হই, আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারব।’
যার যার জায়গা থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।