‘পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর কথা উচ্চারণ করতে দেওয়া হয়নি’
ধানমণ্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং পঁচাত্তর পরবর্তী দুঃসময়ের গল্প শোনালেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ’৭৫-এর পর আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর কথা উচ্চারণ করতে দেওয়া হয়নি।’
আজ বুধবার শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শিশুদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুসহ শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
শিশুদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ’৭৫-এর পর আমাদের বঙ্গবন্ধুর কথা উচ্চারণ করতে দেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধুর কথা স্কুল-কলেজেও বলতে দেওয়া হতো না। তোমরা ইতিহাসের সৌভাগ্যবান শিশু। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তোমাদের শিক্ষকরা আজ ধানমণ্ডিতে নিয়ে এসেছেন।’
পরে শিশুদের উদ্দেশে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিজয়ী জাতি। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের এখানে হত্যা করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের বয়স ছিল ১০ বছর। রাসেলকে মায়ের পাশে নিয়ে হত্যা করা হয়, যা ইতিহাসের একটি পৈশাচিক ঘটনা।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা এখন স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে পারছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। আলোকিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের দাবাইয়া রাখতে পারবা না। পাকিস্তানিরা আমাদের দাবাইয়া রাখতে পারেনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছি। বঙ্গবন্ধু ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। তিনি এখান থেকেই স্বাধীনতার সংগ্রাম করেছেন। এ বাড়িতেই তাঁকে হত্যা করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী সত্যিকার দেশ প্রেমিক সোনার মানুষ হয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানাতে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রকৃত সোনার মানুষ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে শিশুরা শপথ গ্রহণ করে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সভাপতি শিরিন আকতার মঞ্জু এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।