প্রশাসনের সঙ্গে একীভূত হতে চান তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তারা
প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে এক হতে চান তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা। প্রশাসনের সঙ্গে একীভূতকরণের কাজ শুরুর অনুরোধও জানান তাঁরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিসিএস-তথ্য সাধারণ বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সদস্যরা বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামালের সঙ্গে দেখা করে এ অনুরোধ জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেসসচিব নূর এলাহি মিনা, বিসিএস তথ্য-সাধারণ বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বেতারের উপমহাপরিচালক কামাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তারা জানান, বাণিজ্য ক্যাডার একীভূত করার বিষয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর পর্যালোচনা সভা হয়। এ জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরই প্রেক্ষিতে তথ্য ক্যাডার প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূতকরণের কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, তাঁদের সমিতির তৎকালীন সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রশাসনে একীভূতকরণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। প্রায় একই সময়ে সমবায়, পরিসংখ্যান, বাণিজ্য ক্যাডারও প্রশাসনে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে, সম্প্রতি বাণিজ্য ক্যাডারের সঙ্গে এক হওয়ার কাজ শুরু হলেও অন্যগুলোর কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। এই প্রেক্ষিতেই তথ্য ক্যাডার সমিতির কর্মকর্তারা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা সভাপতিকে অফিশিয়ালি অ্যাডমিনের সঙ্গে তথ্যের মার্জের কার্যক্রম শুরু করতে অনুরোধ করেন। অ্যাডমিন সার্ভিসের সভাপতি এ সময় নিজ সার্ভিসের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস দেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিএস-তথ্য সাধারণ বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বাংলাদেশ বেতারের উপমহাপরিচালক কামাল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এখন লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত জ্ঞানভিত্তিক একটি উন্নত স্মার্ট দেশে পরিণত হওয়া। একটি উন্নত আধুনিক সিভিল সার্ভিস ছাড়া উন্নত দেশ অসম্ভব। ঔপনিবেশিক আমলের সিভিল সার্ভিস থেকে বের হয়ে এসে দেশের সার্বিক কল্যাণে একটি উন্নত আধুনিক সিভিল সার্ভিস এখন সময়ের দাবি।’
কামাল আহমেদ আরও বলেন, ‘২৬টি সাধারণ ক্যাডার নিয়ে কখনোই একটি আধুনিক সিভিল সার্ভিস আশা করা যায় না, এমনকি আমাদের আশপাশের দেশেও একটি বা দুটির বেশি ক্যাডার দেখা যায় না। সেখানে যুগের চাহিদায় বাণিজ্য, তথ্য বা সমবায়ের মতো তুলনামূলক ছোট ক্যাডারগুলো যদি প্রশাসনের সঙ্গে একীভূত হতে চায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের বিষয়টি সুবিবেচনায় নেওয়া উচিত।’