অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেছেন বিসিএস কর্মকর্তা
অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করেছেন মুকিব মিয়া নামের এক বিসিএস কর্মকর্তা। মুকিব মিয়া ৩১ তম ব্যাচের বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার। এ ছাড়া তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসিমউদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করা তাঁর অধিকার। আমি শেখ হাসিনার কর্মী।
গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণ করেন মুকিব মিয়া। লিফলেট বিতরণের সেই ছবি ও এ সংক্রান্ত তথ্য তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা গেছে।
মুকিব মিয়ার ফেসবুকে দেখা যায়, তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সমর্থক। আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণের নানা জায়গার ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। এ ছাড়া প্রতিনিয়তই তিনি আওয়ামী লীগের নানা কর্মসূচির ছবি পোস্ট করেন।
সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কেউ কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না, অংশ নিতে নেওয়া যাবে না-সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫ (১) ধারায় এমন কথা বলা থাকলেও তার কোনো তোয়াক্কা করেননি তিনি। বিশেষঞ্জ রা মনে করছেন এটা তার চাকরিবিধি লঙ্ঘন।
মুকিব মিয়ার বলেন, লিফলেট বিতরণ করে তিনি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেননি। উল্টো ড. ইউনূস সংবিধান লঙ্ঘন করছেন বলে দাবি করেন তিনি। ফলে এসব কারণে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগও প্রতিবাদ করছে। তাই আওয়ামী লীগের লিফলেট আমার নেতৃত্বে বিতরণ করেছি। এতে চাকরিবিধি লঙ্ঘন হয়নি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছে, এ দলের লিফলেট বিতরণ করা আমার অধিকার।’
এ বিষয়ে সরকারি জসিমউদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত তিন মাসে একবারও কলেজে আসেননি মুকিব মিয়া। যোগদানের জন্য তিনি অনলাইনে আবেদন করেন। তার আবেদন গ্রহণ করা হয়। তবে, তার যোগদানের হার্ডকপি জমা দেননি। সম্প্রতি তিনি তিন মাসের অসুস্থতাজনিত ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু সঙ্গে চিকিৎসকের সুপারিশ, ব্যবস্থাপত্র, অসুস্থতার প্রমাণপত্র কিছুই দেননি। এরপর থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই।