প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের মৃত্যু
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/08/27/damudda-thana.jpg)
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের মৃত্যু হয়েছে। ওই প্রেমিকের নাম সরোয়ার হোসেন কাজল (২৬)। কাজলের পরিবার এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন। যদিও প্রেমিকার পরিবারের দাবি ‘আত্মহত্যা।’
গতকাল শুক্রবার দিনগত মধ্য রাতে এই ঘটনা ঘটে।
কাজলের বাড়ি ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। প্রেমিকার বাড়ি শিধলকুড়া ইউনিয়নে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর ধরে কাজলের সঙ্গে শিধরকুড়া ইউনিয়নের ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একথা মেয়ের পরিবার জানলেও জানতেন না কাজলের পরিবার।
এদিকে, চাকরির সুবাদে কাজল নোয়াখালীতে থাকতেন। গত বৃহষ্পতিবার রাতে তিনি গ্রামে ফেরেন। পরের দিন গতকাল শুক্রবার রাতে কাজলের প্রেমিকা তাঁকে মুঠোফোনে নানাবাড়ি আসতে বলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই প্রেমিকার চিৎকারে লোকজন জড় হয়। তাঁরা কাজলকে জানালার সঙ্গে ঝুলতে দেখেন।
পরে কাজলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
কাজলের ভাই শহিদুল বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্ক ছিল, তা আমরা জানতাম না। এখন মানুষের মুখে শুনছি—ওদের নাকি পাঁচ বছরের সম্পর্ক।’
শহিদুল আরও বলেন, ‘গত রাতে খাওয়া-দাওয়া করে কাজল ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ কল এলে বাসা থেকে বের হয়ে যায় সে। রাত ১টার সময় হাসপাতাল থেকে আমাদের কাছে কল আসে। আমরা হাসপাতালে গিয়ে কাজলের মরদেহ পাই।’
কাজলের ভাইয়ের দাবি করে বলেন, ‘ওই মেয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।’
মেয়ের মা বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। কাজল মারা যাওয়ায় আমার মেয়ে পাগলের মতো করছে। ওকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছি।’
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরীফ আহমেদ বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। এই বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’