প্রেমের টানে চাঁদপুরে এসে বিয়ে করলেন মার্কিন নারী
দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় ছিলেন শাহাদাত হোসেন। সেখানে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্কিন নারী জনস জিইনাবচনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। দীর্ঘদিন প্রেম করার এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন শাহাদাত। কিন্তু এরপরই শুরু হয় করোনা পরিস্থিতি। এ কারণে দেশ থেকে আর কোথাও যেতে পারেননি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে নিজ দেশ থেকে কোথাও যেতে পারেননি জিইনাবচনও। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁরা নিয়মিতই যোগাযোগ রেখে গেছেন।
এর মধ্যেই বিয়ের পরিকল্পনা করেন দুজন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতিরও কিছুটা উন্নতি হয়। এ কারণে প্রেমের টানে সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাঁদপুরে আসেন ওই তরুণী। ১২ হাজার টাকা দেনমোহরে সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের শাহাদাতের সঙ্গে গত শনিবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের বিবাহিত জীবন যেন সুখের হয়, তাই সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এই নবদম্পতি।
শাহাদাতের স্বজনেরা জানান, শাহাদাতের ছোট ভাই আবু জাফর দুবাই থাকা অবস্থায় মার্কিন নারী ফাতেমা মোহাম্মদ মুসার সঙ্গে তাঁর প্রেম হয়। তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এর মধ্যেই আবু জাফরের স্ত্রীর বন্ধু জনস জিইনাবচনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাহাদাতাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শাহাদাত ২০১৯ সালে দেশে ফিরে আসেন। করোনার কারণে আর বিদেশে যাওয়া হয়নি তাঁর। পরে তাঁরা দুজন বিয়ের পরিকল্পনা করেন। কয়েকদিন আগে দেশে আসেন জনস জিইনাবচন। এরপর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে এসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের এক নজর দেখার জন্য বিয়ে বাড়িতে অনেকে ভিড় জমিয়েছেন।
শাহাদাত বলেন, ‘আমি মালয়েশিয়ায় দীর্ঘদিন ছিলাম। সেখানে থাকা অবস্থায় জনস জিইনাবচনের সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় এবং আমাদের ভালোবাসা হয়। আমি ২০১৯ সালে দেশে এসেছি। কোভিড-১৯-এর কারণে এখান থেকে কোথাও যেতে পারি না। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। এ জন্য সে এখানএ এসেছে ভালোবাসার টানে। গত শনিবার আমরা বিয়ে করেছি। আমরা সুখী আছি এবং আগামী দিনেও যেন সুখী থাকতে পারি, এজন্য সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’