বন্ধ ঘোষণার পরও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রীদের ভিড়
ফেরিতে যাত্রীবাহী গাড়ি এবং যাত্রী পরিবহণ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও, তা মানা হচ্ছে না। সরকারের সর্বাত্মক বিধিনিষেধের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার থেকে জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি বা যাত্রী ফেরিতে নেওয়া হবে না বলে জানায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
পুলিশের চেকপোস্ট, ঘাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আর কঠোর বিধিনিষেধ সত্ত্বেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপার থামছে না। আজ শনিবার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ফেরিতে শতশত যাত্রী ও যাত্রীবাহী গাড়ি পদ্মা পার হতে দেখা যায়। এতে ফেরিতে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদ ও সর্বাত্মক বিধিনিষেধের সময় বাড়ানোয় ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে ঘাটে পৌঁছাচ্ছে। এরপর নির্দেশনা উপেক্ষা করে ফেরিতে নদী পার হচ্ছে তারা।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১০টি ফেরি চালু রয়েছে। যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে, ঢাকা থেকে সড়কপথে পুলিশের চেকপোস্ট উপেক্ষা করে যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। তাদের ফেরিতে ওঠা থামানো যাচ্ছে না। তাই এখন যে যাত্রীরা ঘাটে আসছে, তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য উৎসাহিত করা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আজ সকালে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি অবস্থান করতে দেখা যায়।
গতকাল শুক্রবার (৯ জুলাই) বিআইডব্লিউটিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ জুলাই থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি এবং যাত্রী পরিবহণ বন্ধ থাকবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে নির্দেশনা রয়েছে।