বাজিতপুরের অটোচালক রাব্বী হত্যা মামলার ৬ আসামি গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের নিলখী হাফানিয়া গ্রামের অটোচালক রাব্বী হত্যা মামলার প্রধান আসামি হৃদয় ওরফে সাচ্চুসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের নিলখী হাফানিয়া গ্রামের মো. লিলু মিয়ার ছেলে অটোচালক মো. রাব্বী মিয়াকে অটোবাইকসহ অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে নিখোঁজের প্রায় এক সপ্তাহ পর ১৪ জুলাই ওই গ্রামের মনির হোসেনের বসতবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে রাব্বীর লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হৃদয় ওরফে সাচ্চু এবং আরো সাতজনসহ অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলার পর থেকে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
ওই র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, র্যাবের গোয়েন্দা দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মামলার প্রধান আসামি হৃদয় ওরফে সাচ্চু মিয়া এলাকা থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানাধীন অলংকার নামক এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এবং স্কোয়াড কমান্ডার উপপরিচালক চন্দন দেবনাথের নেতৃত্বে র্যাব-১৪ ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ওই এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় জানায়, অটোরিকশা ছিনতাই তাদের প্রধান কাজ। তারা গত ৭ জুলাই রাত আনুমানিক ৯টার দিকে রাব্বীকে ফোন করে অটোবাইকসহ ঈদগাহ মাঠে ডেকে নিয়ে যায়। ঈদগাহ মাঠের পাশে বালুর মাঠে ১০ থেকে ১২ জন রাব্বীকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তাদেরই কয়েকজন মিলে মনিরের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে রাব্বীর লাশ রেখে আসে। অটোবাইক ছিনতাইয়ের পর সাচ্চু, ইয়াছিন, আজিজুল ও মাসুম অটোবাইকটি সাদ্দাম ও জুটনের কাছে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রিয় করে।