বান্দরবানে ‘বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক চোরাকারবারি’ নিহত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। বিজিবির দাবি, নিহত দুজন মাদক চোরাকারবারি দলের সদস্য।
নিহত দুজন হলেন জোবায়ের (২৮) ও দীল মোহাম্মদ (২৫)। তাঁরা দুজনই কুতুপালং লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরণার্থী ছিলেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবির দাবি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের গর্জনবুনিয়া-চাকমা সীমান্ত পথে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় চালান বাংলাদেশে পাচার করছে—এমন খবর পেয়ে বিজিবির দুটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এ সময় মাদক চোরাকারবারি চক্র বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার জন্য বিজিবিও গুলি চালালে দুপক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। বিজিবির অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে পাহাড়ি পথে সীমান্তের দিকে জঙ্গলে পালিয়ে যায় মাদক চোরাকারবারি চক্রের সদস্যেরা। এ সময় বিজিবির দুজন সৈনিকও গুলিবিদ্ধ হন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে আহতদের নাম জানা যায়নি।
পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই মাদক চোরাকারবারি চক্রের সদস্যকে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুজনকে মৃত ঘোষণা করে।
বিজিবির দাবি, ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক, চারটি গুলি, দুটি গুলির খোসা ও এক লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা ইয়াবার বাজারমূল্য আনুমানিক তিন কোটি টাকা বলে দাবি বিজিবির।
বিজিবি-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণায় করোনা পরিস্থিতিতেও বিজিবি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। গর্জনবুনিয়া চাকমাপাড়া ব্রিজের পূর্ব পাশে পাহাড়ের ঢাল দিয়ে ছয় থেকে সাতজন মাদক চোরাকারবারি বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তাদের সঙ্গে বিজিবির গোলাগুলি হয়। এতে দুজন মাদক চোরাকারবারি রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। বন্দুকযুদ্ধে দুজন বিজিবি সদস্যও আহত হন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, বিজিবির সঙ্গে মাদক চোরাকারবারিদের গোলাগুলির খবর ভোররাতেই পেয়েছি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজন রোহিঙ্গা মাদক চোরাকারবারি মারা গেছেন বলে জেনেছি। বিজিবির পক্ষ থেকে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।