বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, হেলপারের জবানবন্দি
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাত্রীবাহী বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় গ্রেপ্তারকৃত বাসের হেলপার রশিদ আহমদ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নূরের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন রশিদ আহমদ।
গ্রেপ্তারকৃত রশিদ আহমদ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গিরচর গ্রামের এবং পলাতক বাসচালক শহীদ মিয়া সিলেটের জালালবাদ থানার মোগলগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আশেক সুজা মামুন জানান, বাসের হেলপার রশিদ আহমদ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাসমালিকের সহায়তায় জেলার ছাতক উপজেলার বুরাইরগাঁও গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে রশিদ আহমদকে গ্রেপ্তার করে। তবে বাসের চালক শহীদ মিয়া এখনও পলাতক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন। পথে দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে যাত্রীবাহী বাসে একা পেয়ে চালক ও হেলপার ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে রাস্তার পাশে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দিরাই হাসপাতালে নেয়। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদসহ তিনজনকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।