বিএনপি নেতা এ বি এম মোশাররফসহ ৭ জনের জামিন
সুপ্রিমকোর্টের সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগের মামলায় বিএনপি বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনসহ সাত নেতার জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক সাত বিএনপি নেতার জামিন মঞ্জুর করেন।’
নিজাম উদ্দিন জানান, জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন ছাড়াও বিএনপির অঙ্গসংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফিরোজ কিবরিয়া, অ্যাডভোকেট তৌহিদ, অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর, মো. রিয়াজ ও সৈয়দ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিএনপি নেতা এ বি এম মোশাররফসহ পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর দুপুর ১২টায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাইকোর্টের সামনে অবস্থান নেন। দুপুর ২টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে লাঠিপেটা ও বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ধাওয়ায় নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটিতে গত ২৮ নভেম্বর বিএনপি নেতা মেজর (অব.) মো. হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও জাতীয়তাবাদী হকার্স দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এ ছাড়া একই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর রায় এবং আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে আট সপ্তাহের জন্য জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।