সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী এই আদেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ একদিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময়ে তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন—ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর হারুন উর রশীদ হারুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি রফিক হাওলাদার ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি আলী আকবর চুন্নু।’

এর আগে গত বুধবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন একদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেপ্তার তিন বিএনপিকর্মীকে হাজির করে পাঁচদিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফরমান আলী।

এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর বিচারপতি মানিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় তাঁর দেহরক্ষী মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ৪০ থেকে ৫০ জন অজ্ঞাতনামা বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

এজাহার থেকে আরও জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর ১১ আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী প্রত্যেককে দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড পাওয়া আসামিরা হলেন—ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সুমিত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন খান এবং কলাবাগান শাখা ছাত্রদলের সদস্য মো. রবিন খান, মো. সাগর, মো. জসীম উদ্দীন ভূঁইয়া, মো. হারুন অর রশিদ, মতিউর রহমান, শামীম রহমান, জামাল হোসেন, আরিফুল ইসলাম ও আবু তাহের।