বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর পর মারা গেলেন ভ্যানচালকও, সহপাঠীদের বিক্ষোভ

গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম শুভর পর বিকেলে মারা গেছেন ভ্যানচালক লিকু। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সহপাঠীর মৃত্যুর খবরে বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনাস্থল ঘোনাড়ায় অবস্থান নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুরোধ ও বিচারের আশ্বাসে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
নিহত রাইসুল ইসলাম শুভ (২২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার হানসোল গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে। অপর নিহত ভ্যানচালক লিকু সদর উপজেলার চর পাথালিয়া গ্রামের রাশেক শেখের ছেলে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, একটি ভ্যানে করে শিক্ষার্থী রাইসুলসহ তিন শিক্ষার্থী ঘোনাপাড়ায় দিকে যাচ্ছিলেন। ওই স্থানে ভ্যানের টায়ার পাংচার হলে শিক্ষার্থীরা রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। এ সময় পেছনে থাকা দোলা পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে ভ্যানচালক ও ওই তিন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাইসুল ইসলাম শুভকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভ্যানচালক লিকু শেখকে (৫৫) খুলনা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।