বিয়ের দাবিতে অনশন, নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে তরুণী
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গত শুক্রবার অনশন শুরু করেন এক তরুণী। অনশনের দ্বিতীয় দিন গতকাল শনিবার নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মহারাজপুর মুক্তবাজারে প্রেমিক তারেক হাসানের বাড়িতে। প্রেমিক তারেক হাসান বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
দ্বিতীয় দিন গতকাল শনিবার অনশনরত ওই তরুণীকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে হাসানের আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে। ওই তরুণী তাদের নির্যাতনে অচেতন হয়ে পড়লে তারা বাড়ির পাশে ফেলে দেয় তাঁকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ওই তরুণী জানান, তারেক হাসানের সঙ্গে তাঁর এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এক বছর ধরে তারেক তাঁকে অনেক জায়গা নিয়ে গেছেন। বারবার বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তিনি এখন অন্যত্র বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করেছেন। তারেক তাঁকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে গড়িমসি শুরু করলে তিনি তারেক হাসানের বাড়িতে অনশনের সিদ্ধান্ত নেন।
সেই মোতাবেক গত শুক্রবার ওই তরুণী তারেকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। গতকাল শনিবার অনশন করা অবস্থায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তরুণী। এদিকে প্রেমিকার অনশনের খবর পেয়েই তারেক বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
তারেক হাসান মহারাজপুর গ্রামের মুক্ত বাজার এলাকার কাচু মণ্ডলের ছেলে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারেক হাসানের সঙ্গে সেল ফোনে যোগাযোগ করে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তারেকের বাবা কাচু মণ্ডল বলেন, মেয়েটির অভিভাবকদের নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি মিটিংয়ে আছেন, পরে কথা বলবেন।
তবে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, তাঁরা বিষয়টি জানেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।